পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক যুবক। গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতেরা হলেন অজয় কুমার এবং সুইটি শর্মা। অজয় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা। আর সুইটি পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের তরুণী। একই সংস্থায় কাজ করার সুবাদে তাদের আলাপ। তারপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। বছর তিনেক আগে দুজন বিয়ে করেন। কর্মসূত্রে গুরুগ্রামেই থাকতেন অজয় এবং সুইটি। সেখানে তারা একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনায় যা রয়েছে
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেলে তাদের কাছে একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, তার বন্ধু আত্মহত্যা করতে চলেছে। তারপর ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে পুলিশের সাহায্য চান তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অজয় এবং সুইটির মরদেহ উদ্ধার করে। সুইটির মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। আর সিলিং ফ্যানে অজয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত অজয় তার বন্ধুকে ভিডিও কল করেছিলেন। তখন তিনি জানান, আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এই বার্তা পাওয়ার পরই অজয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং পুলিশকে ফোন করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী নিয়ে অশান্তি হয়েছিল, দুজনের পরিবার এবং পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সুইটির পরিবার অজয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে।